কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) ১৯০ একর সংরক্ষিত বনভূমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বন কেটে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রাখার টার্মিনাল হবে।
মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র বলছে, দেশের একমাত্র পাহাড়ি এই দ্বীপের বনে বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজারের কাছাকাছি গাছসহ অনেক বনজ সম্পদ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ক্ষতি বাবদ বিপিসি সরকারকে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা দিচ্ছে।
পেট্রোবাংলা টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলায় সম্প্রতি গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর জন্য ৫৩ একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে। এর ফলে সখীপুরের সাতটি মৌজায় প্রায় ১৮ হাজার গাছ কাটা পড়বে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক বনের প্রায় এক হাজার গজারি গাছ রয়েছে।
গাছগুলোর মূল্য বাবদ বন অধিদপ্তর পাবে তিন কোটি টাকা। গত ৩১ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বন মন্ত্রণালয়ের কাছে গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় গণবিক্ষোভও হয়েছে।
বাংলাদেশে আইইউসিএনের সাবেক প্রধান ও সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এক হাঁড়ি দুধের মধ্য এক ফোঁটা লেবুর রস পড়লে যেমন পুরোটা দুধই নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি বনের ভেতরের জমি বরাদ্দ দিলে পুরো বনে বিপর্যয় নামে।
ইশতিয়াক বলেন, উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিতে হলে জেনে নিতে হবে বনের কী কী ক্ষতি হতে পারে। বনভূমি উজাড় করার পর দশ গুণ গাছ লাগানো কখনোই সম্ভব নয়। জমির সে অবস্থাই থাকে না। তাঁর মতে, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি হাস্যকর।