আবার জরুরি অবস্থা অর্থনীতির ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেই হিসাব কষতেও পিছিয়ে নেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এরা বলছে জরুরি পদক্ষেপ এক মাস স্থায়ী হলে জাপানের অর্থনীতি বার্ষিক হিসাবে প্রায় এক শতাংশের কাছাকাছি সংকুচিত হতে পারে। অন্যদিকে চাকরিচ্যুত হতে পারেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ।
এর বাইরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকার কারণে যে অলিম্পিক ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে, তা নিয়েও চিন্তিত সুগা প্রশাসন। ফলে দুই দিকের মধ্যে একটি ভারসাম্য টেনে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারির পথে এগিয়ে যেতে হচ্ছে সরকারকে। এর পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াতে পারে, তা হয়তো আঁচ করতে পারছে না কোনো পক্ষই।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরেকটি মাথাব্যথা হচ্ছে, চলতি বছর শরৎকালে নির্ধারিত ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের নির্বাচন এবং এর ঠিক পরপর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নিম্নকক্ষ নির্বাচন। করোনাভাইরাস সামাল দেওয়ায় যেকোনো ত্রুটি—তা ভাইরাসের লাগামহীন বিস্তার কিংবা অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি, যেটাই হোক না কেন, সুগার জন্য সেটি হয়ে উঠতে পারে বিদায়ঘণ্টা বাজার সংকেত। আর এ কারণেই হয়তো সিদ্ধান্তহীনতা থেকে ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে তাঁর হেঁটে যাওয়া।